সাকিবের শেষটা কি এমন হোক হয়তো কোন শত্রুও চাইনি। নিঃসন্দেহে সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা ক্রিকেটার।
সাকিব আল হাসান তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার ধরে রেখেছিলেন অনেক দিন। বিশ্বের সব লীগেই দাপটের সাথে খেলে বেরিয়েছেন। এইতো কিছুদিন আগেও কাউন্টি ক্রিকেটে সামারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট।
সেখান থেকেই পারি দেন ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলতে। যদিও নামের সাধে খুব একটা পারফরমেন্স করতে পারেননি। ২ টেস্টে রান করেন মাত্র ৬৬ রান, বল হাতে ৪ ইনিংসের মধ্যে ২য় টেস্টের ২য় ইনিংসে নেন ৪ উইকেট।
কানপুর টেস্টের আগেই টি২০ কে বিদায় ঘোষণা করেন, তবে বাংলাদেশের মাটিতে আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিব কি বাংলাদেশে আসতে পারবে? পরিস্থিতি যা দারিয়েছে সাকিব দেশে আসতে পারবেন না। কয়েকদিন আগেই বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেন ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তাঁকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। নির্দিষ্ট একজনকে ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বিসিবির।’
এছাড়াও কয়েকদিন আগে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন ‘সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুইটা, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে একটা পরিচয়, আরেকটা হচ্ছে ওনার রাজনৈতিক পরিচয়। আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচন করেছিলেন। মানুষের মধ্যে এই দুইটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। এখন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একজন খেলোয়াড়কে যতটুকু নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব, সেটা অবশ্যই আমরা দেব। তিনি দেশে এলে সেটা আমরা দেব।’
উপসংহার হিসেবে বলা যায় প্রাপ্ত সম্মান না পেয়েই বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিবের টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিরবেই বিদায় ঘটে গেল।
সাকিব আল হাসান ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৭১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৩০ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৭.৭৭ গড়ে করেছেন ৪৬০৯ রান। সেঞ্চুরি ৫টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩১টি। সর্বোচ্চ রান ২১৭। উইকেট নিতে পেরেছেন ৩১.৭২ গড়ে ২৪৬টি। ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৯ বার, ৪ উইকেট ১১ বার এবং এক ম্যাচে ১০ বার তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ২ বার।